২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৫ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
সময় টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের পর অবশেষে গোয়েন্দা জালে ধরা পড়েছে বহুল আলোচিত পার্সেল প্রতারণায় বাংলাদেশের মূল মাস্টারমাইন্ড বিপ্লব লস্কর। এক যুগেরও বেশি সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিদেশি প্রতারকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশের মানুষের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। হয়েছেন বিপুল সম্পত্তির মালিক। বিপ্লব ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে দেশি-বিদেশি আরও ১০ প্রতারককে।
রাজধানী থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে রূপগঞ্জের পূর্বাচলে বিলাসবহুল এক ডুপ্লেক্স বাড়ির মালিক বিপ্লব লস্কর। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বাড়িটি নির্মাণ করেন তিনি। বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাসরত আফ্রিকার কয়েকটি দেশের নাগরিকদের দ্বারা অভিনব কায়দায় যে পার্সেল প্রতারণা হয় তার মূলহোতা বিপ্লব লস্কর। প্রতারণার টাকার একটি বড় অঙ্কের ভাগ পান তিনি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ১৫ বছর ধরে ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন লস্কর। গত রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) এনিয়ে খবর প্রচার হয় সময় সংবাদে। অবশেষে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ তাকেসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে।
একসময় গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে বাবা ও ভাইদের সঙ্গে কুলির কাজ করতেন বিপ্লব। ২০০০ সালে ঢাকায় এসে মিরপুরে ফুটপাতে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেন। পরিচয় হয় মিরপুরে বসবাসরত কয়েকজন নাইজেরিয়ান নাগরিকদের সঙ্গে। ২০০৭ সালে প্রতারণার জগতে পা রাখেন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হোল্ডার হিসেবে।
পুলিশ বলছে, প্রতারণার পথ দেখিয়ে শতকোটি টাকা বিদেশিদের কাছে তুলে দিয়েছেন বিপ্লব। এই লাইনে তিনি বিগ বস নামে পরিচিত। প্রতারকচক্রের অধিকাংশ সদস্য তার নাম জানলেও সরাসরি তাকে দেখেননি।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে কোনো বাংলাদেশি নম্বর ব্যবহার করেননি বিপ্লব। ওয়্যারলেস পকেট রাউটার ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন বিপ্লব লস্কর।
বিদেশি বন্ধুর পাঠানো পার্সেল প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে লোভ সংযত করার পরামর্শ পুলিশের।